কিছু দিন আগেই শুনতে পাবে BMW ইঞ্জিন যুক্ত একটি ফ্লাইং কার দুনিয়ায় প্রথম একটি শহর থেকে আরেকটি শহর যাত্রা সম্পূর্ণ করেছে। যদি আমি দুনিয়ার প্রথম উড়ন্ত গাড়ি গুগলে সার্চ করে দেখেন, আসলেই প্রথম উড়ন্ত গাড়ি কোনটি তবে আপনার 85 ব্র্যান্ড পেয়ে যাবেন। যারা দাবি করছেন আমরা প্রথম উড়ন্ত গাড়ি বানিয়েছি। কিন্তু আমরা প্রথমবার দেখছি একটি উড়ন্ত গাড়ি একটি শহর থেকে শুরু করে অপর একটি শহরে যাত্রা সম্পূর্ণ করে। সম্পূর্ণ 80 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে । আরে কি হয়েছে ইউরোপের দেশ স্লোভাকিয়া তে। আর সেই জন্য এটাকে বলা হচ্ছে, দুনিয়ার প্রথম উড়ন্ত গাড়ি। কারণ এই গাড়ি সম্পূর্ণ যাতা করে তাছাড়া তার পুরো ফাংশন প্রকাশ করে।
তাছাড়া এটা কারো কারো বক্তব্য যে এই কার পরবর্তী সময়ে আম আদমি ব্যবহার করতে অসমর্থ থাকবে। আর সেটি কেন? প্রথম কথা হল যে এই উড়ন্ত গাড়ি তার ভিডিও আপনাদের দেখতে হবে । আর এখানে আপনি দেখতে পাবেন, এটি হলো KLEIN VISION এটি একটি কোম্পানি স্লোভাকিয়ার। যে কোম্পানি তৈরি করেছে দুনিয়ার প্রথম উড়ন্ত গাড়ি। আর এতে ফিট করা হয়েছে নামিদামি সংস্থা বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন। এখানে উড়ন্ত গাড়ি চলতে চলতে তার ভিতর দকে ভাঁজ করে রাখা ডানাটা বার করে দেয় উড়ার আগে। তবে আপনার রানওয়ে লাগছে । সম্প্রতি যে 80 কিলোমিটার অতিক্রম করেছে এই উড়ন্ত গাড়িটি তখন তার গতিবেগ ছিল 170-180 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। খুবই আশাজনক গতিবেগ ছিল উড়ন্ত গাড়িটির। যেটি 30 মিনিট সময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ করে এই উড়ন্ত-গাড়িটি। আর একটি এয়ারপোর্ট থেকে অপর এয়ারপোর্টে যায় এটি। আর আপনার ল্যান্ডিংয়ের জন্য ও আপনাকে রানওয়ের প্রয়োজন হতো হবেই। যদি আপনি খারাপ স্থানে ল্যান্ডিং করার চেষ্টা করেন তাহলে বিপদ ঘটতে পারে।
তবে এটাকে অনেকে দেখে তাদের বক্তব্য এটি কোন গাড়ি নয় এটি সম্পূর্ণ প্লেন। বাস্তবে যেটাকে আমরা ফ্লাইং কার বলতে বুঝি কোন ব্যক্তি ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা তার গাড়িতে উঠে সরাসরি কোনরকম ডাইনে-বাঁয়ে না চলে ভার্টিক্যালি সেই জায়গা থেকে সোজা উপরের দিকে উঠে যাবে এবং উপরে ওঠার পর তার গন্তব্যস্থলের দিকে চলতে শুরু করবে। অবশ্য সেই রকম ভাবেই ভার্টিক্যালি ল্যান্ডিং (vertical take-off and landing) করবে সেটাকেই আমরা বাস্তব ফ্লাইং কার হিসেবে গণ্য করি। আরএক্ষেত্রে এখানে ফ্লাইং কার এয়ারপোর্ট এর দরকার হতে পারে বাস্তবে এই উড়ন্ত কার কে । আর ভবিষ্যতে যদি ফ্লাইং কার দরকার হয় তাহলে ছোট ছোট এয়ারপোর্টের দরকার হতে পারে। এয়ারপোর্টে খুব পরিমানে ভিড় হবে। বহুৎ ট্রাফিক হবে। যার ফলে অ্যাক্সিডেন্টের সম্ভাবনা বাড়তেই থাকবে। তাই এই পরিকল্পনা নিয়ে বেশি মানুষ অতোটা কৌতুহলী নন।
তবে স্লোভাকিয়া তে এই যে উদ্যোগ একদম ঝেড়ে ফেলা যায় না। এটাকে এরা বলছেন air car । তাছাড়া এই ওয়েবসাইটে গাছে কিভাবে একে ডেভলপ করা হয়েছে বা এর ইতিহাস কি। তাদের ওয়েবসাইট এর মতে 1989 এ একটি ধারণা করে AEROMOBIL 1 এর । এ এতটা সফল হয় না। তারপর 1996 এ বানায় AEOMOBIL 2 এটিও খুব একটা নাম কামাতে পারে নি। এলপর 2016 তে সম্পুর্ন তৈরি হয় AIRCAR। এদের কোম্পানির বক্তব্য এই ডিজাইন এটাই ভবিষ্যতে ব্যবহার করা হবে, এর থেকে ভালো ডিজাইন এদের কথায় আর করা সম্ভব নয়। এদের বক্তব্য আমরা পরবর্তীতে অন্য কোম্পানির সাথে টাই আপে আমরা তৈরি করবো এই ফিউচার কার।
যদি আমরা ইন্ডিয়ার কথা বলি তবে, ইন্ডিয়াতে ডাচ বলে একটি নেদারল্যান্ড বেস কোম্পানি । এই কোম্পানি গুজরাট এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে 2020তে। 2021-2022 এর মধ্যে একটি উড়ন্ত গাড়ি মিল ফেক্টরী করবে গুজরাটে। প্যানডেমিক এর কারণে সেটি পিছিয়ে যায়। কিন্তু সম্ভাবনা আছে পরবর্তীতে আপনি মেনুফেকচার হতে দেখতে পারেন এই উড়ন্ত কারকে। তবে এটি কোন ইন্ডিয়ান কোম্পানি নয়। একইভাবে একটি বিদেশি কোম্পানি। যে ম্যানুফেকচার করবে এই PAL-V বলে উড়ন্ত গাড়ি। এখানে করতে পারেন পুরো গাড়িটি ম্যানুফ্যাকচার অথবা কিছু পার্টস তৈরি করতে পারেন।
আরও পড়ুন:আসছে এক দেশ,এক আইন ব্যবস্থা, কিছু রাজনৈতিক নেতা সহ, বুদ্ধিজীবীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ!
![]() |
PAL-V |
এখন আমরা মনে হতে পারে ভবিষ্যতে আর কতদিন লাগতে পারে এই ফ্লাইং কার চলার জন্য। হয়তোবা পাঁচ বছর হয়তো দশ কিন্তু উড়ন্ত গাড়ি চলার আগে সরকার থেকে আনতে হবে অনেক বিধিনিষেধ। সব থেকে ভয়ের ব্যাপার এটাই যদি আম আদমি হাতে একটি উড়ন্ত গাড়ি পড়ে যায় তবে ইন্টার্নেশনাল সীমানার সংজ্ঞা বদলে যেতে পারে। এর উপর একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফ্রম এ। যদি ফ্লাইং কার খুব সহজেই মানুষ হাতে পেয়ে যায়। তবে আপনি ভেবে দেখুন কোনো ব্যক্তি যে উত্তরপ্রদেশে বসবাস করে আর তার কাছে যদি ফ্লাইং কার থাকে তাহলে কে আটকাবে তাকে যদি সে চায়নায় চলে যায় অথবা অন্য দেশে চলে যায়। ধরা পড়ে যাবে কি যাবে না সেটাতো পরে আসে। এখানে সড়কপথ সেনাদিয়ে রক্ষা করা সম্ভব হয় না। তাহলে আকাশপথ সেটা তো দূরের কথা। একটি ফ্লাইং কার যটি 8,000 ফিট থেকে 10,000 উপরে উঠতে পারে যার গতিবেগ 170-180 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় সেটিকে ট্রেস করা খুবই মুস্কিল হবে । এমনকি আকারে ছোট হওয়ার কারনে রেডারেও ধরা পড়বে না।
তাই এই উড়ন্ত গাড়ি বাজারে এলে অনেক আইন-কানুন আনতে হতে পারে বা আইন সংসধন করতে হতে পারে । আর এটাও সরকার চেষ্টা করবে যাতে সহজেই সাধারন মানুষের হাতে না আসে । আপনার কি মনে হয় উড়ন্ত-গাড়ি মানুষের চলার পথকে সুগম করবে। কি কি খতির আশঙ্কা আছে ? কমেন্ট করে জানাবেন।
আরও পড়ুন: পেগাসাস কি,ইসরায়েলি সফটওয়্যার পেগাসাসের ব্যবহার প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত !
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন