তবে কিসের উপর ভিত্তি করে এরা 45 লাখ মৃত্যু বলছে? আর এই স্টেটমেন্ট আদও কি সত্যি। কথা বলা যাক আগে আগে এবং স্টেপ বাই স্টেপ এনালাইসিস করে দেখবো। তবে এই ব্যাপারের উপর কেন এত চর্চা হচ্ছে?
যেমনটি বলছিলাম একটি আর্টিকেল প্রকাশ করে US বেস Think Tank এর আসল নাম হলো Center For Go bal Development (CGD)। আসল কথা হল এই আর্টিকেলের লেখক হিসাবে অনেক হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আছেন। তার সাথে সাথে আমাদের ভারতবর্ষের ফর্মাল চিপ ইকোনমিক এডভাইজার আরবিন সুব্রামানিয়াম এনার দ্বারাও লেখা গেছে। ইনি ছিলেন কো- অথর যার জন্য আরোবেশি গুরুত্ব পায় এটি। এর সাথে সাথে বলা যায় পুরো প্যানডেমিক এর সময় যে সময় ভারতে প্যানডেমিক শুরু হয়েছিল গত বছর থেকে এখন থেকে 2021 জুন পর্যন্ত 49 লাখ অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে রিপোর্টে বলা হচ্ছে। যেখানে সরকারের বক্তব্য জুন শেষে প্রায় 4 লাখ মৃত্যু হয়েছে । এখন দেখলে 4লাখ 14 হাজারের পাশাপাশি হয়েছে। আর এর সাথে 49 লাখ যোগ করা গেলে যা দাড়ায় সেটা হয়েছে।
যখন কথা হচ্ছে অতিরিক্ত মৃত্যু। তার মানে অতিরিক্ত মৃতু কেন বলা হচ্ছে । তার মানে কি সবাইএর কোরনায় মৃত্যু হয়েছে । না ঠিক এমনটা নয় । যতটা অতিরিক্ত প্রানহানি হয়েছে সংশ্লিষ্ট সময়কালে অর্থাৎ আমরা এক থেকে দেড় বছরে যত মৃত্যু হয়েছে তার আগে কত মৃত্যু হয়েছে তার কথা বলা হচ্ছে। তবে এখানে আর একটা বিষয় যে 49 লাখ হিসেব দেওয়া হয়েছে হতে পারে তাতে সরাসরি কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ব্যাক্তির তবে এমন ব্যাক্তি আছে যাদের সরাসরি মৃত্যু হয় নি। উদাহরণস্বরূপ কিছু ব্যাক্তির বিপির সমস্যা এরকম ব্যাক্তিরা হসপিটাল গেলে ঠিক হতে পারতো । বেশিরভাগ হাসপাতাল কোভিড হাসপাতালে পরিবর্তন হয়েছে। যার জন্য চিকিৎসা না পেয়েই অনেক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে । আর এরকম কেসগুলিও এর মধ্যে কাউন্ট করা হয়েছে । আর সেই জন্যেই এখানে অতিরিক্ত মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।
আর এই পুরো আর্টিকেলে বেশ কিছু রিপোর্ট কে কভার করা হয় । আর এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে ভারতের কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান কোম দেখান হচ্ছে । গত মাসে আসা WHO রিপোর্ট দেখলে দেখবেন , তারা বলছে গোটা বিশ্বে যে মৃত্যু হয়েছে 40 লাখের মতো এটা অনেকটাই কোম দেখানর চেষ্টা করা হয়েছে। এর থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে । তাহলে একটা ধারনা করতে পারছেন গোটা বিশ্বে 40 লাখ মৃত্যু হয় আর ভারতবর্ষে সেখানে 49 লাখ মৃত্যু হয়েছে । এর সাথে সাথে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টৈ বলা হয়েছে । বহু জন এখনো ভাবছেন যে যেটা কোভিড এর প্রথোম ঢেউ ছিল যেটা গত বছর এসেছিল ওটা কোম প্রানঘাতি ছিল । ওটার থেকে খুব বেশি প্রভাব পড়ে নি কিন্তু এই রিপোর্টের কথায় যেমনটি আমরা ভাবছি তেমনটা নয়। প্রথম ঢেউ ছিল সব থেকে প্রানঘাতি ছিল যেটা এখন আমরা বিশ্বাস করছি । আর প্রথম ঢেউ এর পর মানুষ যেখাবে কোভিড কে খুব সোজা ভেবে এড়িয়ে চলছিল তাতে দ্বিতীয় দেওয়ার মর্মান্তিক আকার ধারণ করে।
তাহলে কোন কোন তথ্যার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট পেশ করে । বিশেষত তিনটি রিপোর্টের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি হয়। প্রথম আনুমান CRS এর ডেটা। যেটা সাতটি রাজ্যের 34 লাখ মানুষের মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট পেশ করে ।
দ্বিতীয় রিপোর্ট নেওয়া হয় International IFR estimates এর মাধ্যমে বলা হয়েছে 40 লাখের অতিরিক্ত মৃত্যু হয়েছে ভারতের ভিতর।
তৃতীয় আনুমানিক তথ্য অনুযায়ী Consumer Pyramid Household Surver (CPHS) এর মাধ্যমে বলা হয়েছে ভারতে 49 লাখ মৃত্যু হয়েছে ।
আর এই তিনরকম রিপোর্ট পেশ করা হয়। আর এখানে বলা হচ্ছে ভারত সরকার দ্বারা দেওয়া তথ্য অনেক বেশি সন্দেহজনক। সঠিকভাবে পেশ করা হচ্ছে না। তার অর্থ দাড়ায় ভারতের তথ্যের উপর প্রশ্ন চিহ্নি ফেলে দেয়। এখনে যারা গবেষনার কাজ করছে তাদের বক্তব্য ব্রাজিল, ইটলি , আমেরিকা ও ব্রিটেন ওখানে কভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কোম পাওয়া যাবে তবে এখানে মৃতের সংখ্যা বেশ বেশি । আর সেই হারে ভারতে মৃত্যুর হার কিন্তু কম । আর এইসব প্রমান নিয়ে বলা হচ্ছে যে ভারত তার কোভিড সংক্রান্ত তথ্য লুকোচ্ছে। আর ভারতে আজ পর্যন্ত এমন কোনো কোনো অনুমান নেই যে অতিরিক্ত মৃত্যু কত হয়েছে তা সঠিক বলতে পারে। আর এখানে রিসার্চার দের বক্তব্য যে আমরা ভারতের কিভিডের মৃত্যুর একটি সঠিক অনুমান দেওয়া যায় , যেটা পরিস্থিতি, বাস্তবতা, সেটাকে সবার সামনে তুলে ধরা।
তবে তার সীমাবদ্ধতা আছে এমন নয় 49 লাখ পরিসংখ্যান এর উপর নিচে হতে পারে । যেখানে 7 টি রাজ্যের পরিসংখ্যান নিয়ে রিসার্চ করা হয় , দ্বিতীয় আনুমানিক Partly Indian deta কে নিয়ে রিসার্চ করা হয়েছে এবং বাকি foreign data নিয়ে কাজ করা হয়েছে। ফরেন ডেটা কে লিঙ্ক করেদেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান ডেটার সাথে । তাহলে যেসমস্ত তথ্য অনুযায়ী রিসার্চ হয়েছে তাতে সীমাবদ্ধতা থাকাটা স্বাভাবিক।
সিদ্ধান্তে আসা যায় এটা বলে যে হতে পারে কম বেশ রিসার্চ এ সমস্যা আছে । তবে ধরতে গেলে যে অতিরিক্ত মৃত্যুর কথা বলা যায় তাহলে সেটা কয়েক মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে । আর এর জন্যই স্বাধীনতার পরে 'Worst human tragedy' বলা হচ্ছে ভারতের জন্য। আপনার কি মনে ভারতে অতিরিক্ত মৃতু হয়েছে? ভারতে কি ভুল তথ্য প্রদানকরা হচ্ছে কমেন্ট করে জানান আপনার মতামত।
আরও পড়ুন:BMW ইঞ্জিন ব্যবহার করে বিশ্বের প্রথম ফ্লাইং কার সফল ফ্লাইট !
সূত্র-Think Tank
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন