Today News ডেস্ক: ধ্যপ্রদেশের সাংগ্রাউলি জেলার এক ব্যাক্তি মেয়ের দেহ খাটায়ায় চাপিয়ে ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হলেন। কারণ গাড়ি ভাড়া করে মেয়ের দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য নেই তাঁর। আর প্রশাসনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি । তাই অগত্যা নিজের পায়ের উপরই ভরসা রাখতে হল। আর এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিংগ্রাউলি জেলার গদাই গ্রামের বাসিন্দা ধীরাপতি সিং গোন্ডের বছর ষোলোর মেয়ে গত ৫ মে আত্মহত্যা করে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সেখানে গিয়ে মৃতের পরিবারকে বলে আসে, ময়নাতদন্তের জন্য দেহ তাদেরই  হাসপাতালে পৌঁছে দিতে হবে। আর যে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কথা হয় সেটির দুরত্ব ছিল ধীরপতিদের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার। কিন্তু এক দিকে প্রশাসনের কোনও সাহায্য না পাওয়ায় শেষে একটি খাটিয়ায় মেয়ের দেহ তুলে গ্রামবাসীদের সাহায্যে ৩৫ করে কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে বেরিয়ে পড়েন ওই পৌঢ়। হাসপাতাল পৌঁছতে তাদের প্রায় ৭ ঘন্টা সময় লাগে। সেই সময় গ্রামে উপস্থিত কেউ তাদের এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন। পরে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

 
পরের সংবাদ মাধ্যমকে ধীরাপতি গোল্ড জানিয়েছেন,' তারা সকাল ন'টায় যাত্রা শুরু করেন। হাসপাতাল পৌঁছতে পৌঁছতে বিকেল চারটে বেজে যায়। এতটা রাস্তা কাঁধে করে এভাবে খাটিয়া বয়ে নিয়ে আসার ফলে তারা অসুস্থ বোধ করছেন। কিন্তু সাহায্য করার মতো কেউ নেই।'


ীরাপতি আরও বলেন, গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে পাকা রাস্তা ছিল। প্রশাসন চাইলে একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে দিতেই পারত। কিন্তু সেই সাহায্য পাওয়া যায়নি প্রশাসনের কাছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এলাকার এক পুলিশ অফিসার অরুণ সিং দাবি করেছেন, এক্ষেত্রে গাড়ির বন্দোবস্ত করার মতো আর্থিক বরাদ্দ নেই তাদের। তাই মৃতদেহ নিয়ে এসে ময়নাতদন্তের জন্য প্রশাসনের তরফে কোন গাড়ির বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়নি।
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন