অভিযোগ, কার গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১০০ গ্রাম কোকেন। এরপরই নেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তর হ্যান্ডব্যাগ এবং গাড়ির সিটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় লক্ষাধিক মূল্যের মাদক।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রথম নয়। মাদক পাচারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই জড়িত পামেলা। জানা গিয়েছে,নিউ আলিপুর থানায় গোপন সূত্র মারফত খবর এসেছিল যে পামেলা প্রতিদিন প্রবীর কে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন নিউ আলিপুর এর উদ্দেশ্যে। আলিপুরের একটি নির্দিষ্ট কফিশপের সামনে এসে দাঁড়াতে পামেলা প্রবীরদের গাড়ি। তাদের গাড়ি দেখেই সেখানে সাত-আটটি বাইকে চলে আসতো বেশ কয়েকজন যুবক চলে আসত। পুলিশের দাবি, এখানেই মাদক হস্তান্তরিত হতো।
এদিন পুলিশের কিচেন সুনির্দিষ্ট ভাবে খবর এসেছিল, এই যুবকদেরই কোকেন বিক্রি করছেন পামেলা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন নির্দিষ্ট সময়ে ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ অফিসাররা। পরনে সাদা পোশাক থাকায় পামেলা প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। রুটিন মাফিক তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসার পর, ঘিরে ফেলে পুলিশ। আটক করা হয় অভিযুক্তদের । এরপর গাড়ি আর পামেলার সঙ্গে থাকা ব্যাগে তাল্লাশি চালাতেই ছোট ছোট পাউচে মোট ১০০ গ্রাম কোকেনের সন্ধান মেলে। ঘটনায় তাদের সঙ্গে আর কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার।
এদিন প্রথমে মহিলাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পরে তাঁকে লালবাজারেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, পামেলা কেন্দ্রীয় সুরক্ষা পান। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে কোনো নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না । এদিন প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন জলপাই রঙের গাড়িতে ছিলেন এক তৃতীয় ব্যক্তি।
তাহলে তিনিই কী কেন্দ্রীয় সেই নিরাপত্তারক্ষী, উঠছে প্রশ্ন। ভোটমুখী বঙ্গে এহেন ঘটনার জেরে গেরুয়া শিবির মে বেশ খানিকটা চাপে পড়বে, এমনটা মনে করছে শহরের একাংশ।
আরও পড়ুন:হাসপাতালে রোগিকে কেটে খাওয়া হলো!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন