![]() |
(Representational Image PTI) |
জুয়া মানুষকে কতটা নিচে নামাতে পারে এটাই তার একদিন বড় নিদর্শন। জোয়ার থেকে তিনি বউকে বাজি রাখেন। ফলে, বাজিতে হারের পরে বউকে তুলে দিতে হয় বন্ধুদের হাতে। জুয়ার শর্ত ছিল, হারলে তার যুবতী স্ত্রীকে গণধর্ষণে তিনি কি বাধা দিতে পারবেন না। কিন্তু স্বামী চাইলে যে স্ত্রী অন্য কারোর শয্যা সঙ্গিনী হবে সেটা তো হতে পারে না। আর পাঁচজন স্ত্রীর মত তিনিও বেঁকে বসেন স্বামীর এই কুরুচিকর প্রস্তাবে। ফল মেলে হাতেনাতে । অবাধ্য স্ত্রীকে জব্দ করতে স্ত্রীর শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেন ওই ব্যক্তি। যদিও পুলিশি জেরায় অভিযুক্তের দাবি,স্ত্রীকে শুদ্ধ করতেই নাকি তার গায়ে অ্যাসিড ঢেলেছেন। বিহারের ভাগলপুর জেলার এই ঘটনায় অভিযুক্তত গ্রেফতার করে নিয়ে যায়়় পুলিশ।
রাকেশ কুমার ঝা ভাগলপুর মোজাহিপুর থানার পুলিশ তিনি জানান, রবিবার সন্ধ্যাতেই অভিযুক্ত সনু হরিজনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের রয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে সনুকে। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের কথায়, ঘটনার ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে আমরা দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। ঘটনা তদন্ত চলছে। বাকি অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করব।
অভিযুক্ত ব্যক্তি সনু পুলিশের জেরায় জানায়, একমাস আগেই তিনি জুয়ার থেকে বাজি হেরে ছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এক মাসের জন্য তার স্ত্রীকে বন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্ত্রী বেঁকে বসেন। নির্যাতিতা বছর তিরিশের ওই বধুর বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেফতার করে। বাজি হেরে বন্ধুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে তোকে যে সে হেনস্থা করেছে, তা স্বীকার করে নেন।
নির্যাতিতা অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পর শাশুরি তাকে জোর করে মোজাহিপুরের বাড়ির একটি ঘরে আটকে রেখেছিলেন তাকে। ঘটনা যেন পাঁচ কান হয়ে যায়, সেই ভয় উনি ঘর থেকে বৌমাকে বিরতে দিতে চাননি। ঘরেই ছেলের বউয়ের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন। শ্বশুর বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে বাপের বাড়ি আসার পরেই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায় এবং লোদিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মোজাহিপুর থানায়। সেখানেই এফআইআর দায়ের করে নির্যাতিতা।
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন