সং
বাদ মাধ্যম কে চড়া গলায় আক্রমণ করার ঘটনায় তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াবেন না তৃণমূল কংগ্রেসের কোন নেতা। তাছাড়াও এরইমধ্যে বেশকিছু সংবাদমাধ্যম নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত মিত্র কে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অবশেষে এ বিষয়ে রানীগঞ্জের সভায় মুখ খুললেন তিনি।



তবে  তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'প্রেস মিডিয়ার একটা ইজ্জত আছে। প্রেস মিডিয়া আমাকে অনেক সাহায্য করে। কার কোথায় কি প্রয়োজন, মানুষের কি দরকার তা তুলে ধরে সংবাদ মাধ্যম।'অর্থাৎ দলীয় সাংসদদের নাম না করে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি নিজের সম্মান তুলে ধরলেন তিনি। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। অন্যদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও এদিন এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেন,'সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সাংবাদিকদের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে। তাই সাংবাদিকদের প্রতি এমন মন্তব্য শুনে খারাপ লাগছে। তবে এটা ওর (মহুয়া মৈত্র)ব্যক্তিগত মন্তব্য, দলের কথা নয়। প্রেস আমাদের বিরুদ্ধে লিখলেও আমরা তাদের কথায় সহমত পোষণ করে চলি।'



তবে শুরু কোথায়, রবিবার নদীয়ার গণেশপুরে দলীয় কর্মীসভায় হঠাৎ সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষিপ্ত হন মহুয়া।এক সাংবাদিককে তার ছবি তুলছেন দেখে প্রথমে তিনি মন্তব্য করেন, আপনি কে? সাংবাদিক নিজের পরিচয় দিলে তাকে বলতে শোনা যায়,'এখানে কোন পেজ বার সাংবাদিককে ডাকা হয়নি।'পরে সভাস্থলের বাইরে তাকে বলতে শোনা যায়, 'মুখ দেখাতে কে দুই পয়সার প্রেসকে ডেকেছে?'আর এই ভিডিও ফেসবুক থেকে ইউটিউব নানা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। সেখানে মহুয়ার গলা শোনা গেলেও তাকে দেখা যায়নি






এই সমালোচনার পরে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য আগেই বার্তা দেয়া হয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্ব মহুয়ার এ বক্তব্য সমর্থন করে না। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে সোমবার একটি টুইট করেন মহুয়া। শেয়ার করেন একটি মিম বা ব্যঙ্গচিত্র। যার  মানে এই দাঁড়ায়,'দুঃখজনক সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।'এর সঙ্গে তার বিদ্রুপ,'আমার মিম এডিটিংয়ের দক্ষতা দিন দিন ভালো হচ্ছে।'ফলে সাংসদ দুঃখ প্রকাশ করতে চাইলেন নাকি আরও এক দফা কৌতুক বা দম্ভের পরিচয় দিলেন, তা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক দানা বাঁধছে। তারপর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নাম না করে সংবাদমাধ্যমকে যে প্রশংসা করলেন তাতে হয়তো একটু বাড়লো।




আপনার মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।।  

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন