কাছে থেকে বুঝতে হবে পরিস্থিতি।
শুক্রবারে কালীঘাটে ঠিক এমনই কিছু কর্মসূচি বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে,মালদহে দীর্ঘদিন দলের পর্যবেক্ষক' ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।শুক্রবার তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই মালদহের তৃণমূলের কোর কমিটিকে জরুরি তলব করা হয়েছে কলকাতায়। মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল এবং জেলার দুই প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী কে ডেকে পাঠানো হয়েছে ।শনিবার কলকাতায় নিজেদের দপ্তরে তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । হয়তো শুভেন্দুর অনুপস্থিতিতে দলকে কিভাবে চলতে হবে তার রূপরেখা ঠিক করে দেয়া হবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত দফায় দফায় অন্যান্য জেলার নেতৃত্বকেও এই বার্তা দেয়া হবে। কিন্তু শুভেন্দুর দল ছেড়ে হঠাৎ চলে যাওয়া একটা বড় প্রশ্ন চিহ্ন ছেড়ে গেল টিএমসি অন্দরে। শেষ রক্ষা করতে পারবি কি টিএমসি না ভেঙে যাবে তাসের ঘরের মতো? সেটা সময়ই বলে দেবে।
পরিস্থিতির আগাগোড়া না বুঝেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাবরের অভ্যাস। যেকোনো সংকটজনক পরিস্থিতির হোক ঠান্ডা মাথায় তিনি করতে সক্ষম।তার মন্ত্রিসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী পদত্যাগ নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। কিন্তু তাতে আমল দিতে আর রাজি নন তিনি। বরং শুভেন্দু পর্ব সমাপ্তি পুরোপুরি ইতি টেনে শুভেন্দুহীন দলের একুশে নির্বাচনী স্ট্রাটেজি ঠিক করে দিলেন শুক্রবারে। সাংগঠনিক দায়িত্ব বৃদ্ধি করলেন দলের শীর্ষ নেতাদের। সেইসঙ্গে পুরোদমে ভোট প্রচারে নামছেন তিনি নিজেও। মাঠে নেমে প্রচারের কাজটা আগেও যেমন করতেন মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরও সেই একইভাবে করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের বিধানসভার লড়াই কিছুটা কঠিন শাসক দলের কাছে তা বুঝিয়ে এবার রণকৌশল চূড়ান্ত করে নিলেন তিনি।
শুক্রবার দলের শীর্ষ নেতাদের ডেকে কালীঘাটের বাড়িতেই নিয়ে নিলেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। শুধু প্রশাসনিক কাজ না দল কিভাবে এগোবে সেটাও তিনি নিজে চোখে তদারকি করেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীর মত শীর্ষনেতাদের সংগঠনের কাজে আরো বেশি করে মন দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিও নির্দেশ তার। কোথাও কোন ঢিলেমি নয়, একুশের লড়াইয়ের দামামা বাজিয়ে এককথায় সকলকে বারবার করে বলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপির সাম্প্রদায়িক মনোভাব কে মূল হাতিয়ার করে মাঠে নামতে বলেন সবাইকে। পুজোর আগে সংগঠনের রদবদলের শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে খানিকটা দ্বিধাই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই তাকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও, একটা বিকল্প ব্যবস্থা ভাবা ছিল তার। এবার সেই বিকল্পটি কেই সামনে এনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে টিএমসি। জানা গিয়েছে, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের সংগঠনের দায়িত্ব আবার তিনি দিয়েছেন সুব্রত বক্সীর উপর। জেলায় জেলায় অন্যয যাদের যা দায়িত্ব ছিল সেই মত কাজ চলবে এখন। তার পাশাপাশি নেতাদেরও জেলা সফর করতে হবে,
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন