আপনি কি জানেন লংটাইম ধরে একা থাকা আপনার জন্য ততটাই ক্ষতিকারক। যা একদিনে পনেরোটা সিগারেট খাওয়ার সমান। তো আপনি যদি লংটাইম ধরে একা থাকেন তাহলে এর মানে হল আপনার ততটাই ক্ষতি হচ্ছে যা একদিনে পনেরোটা সিগারেট খাওয়াতে হয়। আর আপনি এটা কি জানেন গুড মর্নিং ও গুড নাইট এর মেসেজ হয় সেটা আপনার ব্রেনের সেই পাটটাকে অ্যাক্টিভেট করে দেয় যা আপনার খুশির কারণ হয়ে থাকে। মানে আপনার কোন বন্ধু যদি গুডনাইট গুড মর্নিং এর ম্যাসেজ পাঠিয়ে থাকে তাহলে সেটা দেখে আপনার অ্যাক্টিভেট হয়ে যায় যাতে আপনার অনেক বেশি খুশি অনুভব হয়। আর আপনি এটা হয়তো জানেন না যে, আপনি আপনার লাইফের বেশিরভাগ ডিসিশন নিজের অজান্তে নিয়ে থাকেন অর্থাৎ আপনি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারার আগেই কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। আর এরকমই কিছু 10টি সাইকোলজিকাল ফেক্ট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি যা দেখার পর আপনি বলবেন WOW। তাই শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়বেন।
Fact No. 1 যে ব্যক্তি একের অধিক ভাষা জানে বা যে মানুষ একের বেশি ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলতে পারে। সে তার পার্সোনালিটিকে শিফ্ট করতে পারে অর্থাৎ সে একটা পার্সোনালিটি থেকে নিজেকে দ্বিতীয় পার্সোনালিটি নিয়ে যেতে পারে। যেমন মনে করুন যদি আমি বাংলা হিন্দি ও ইংরেজি তিনটি ভাষাতেই কথা বলতে পারি তো আমার কাছে টোটাল তিনটে পার্সোনালিটি রয়েছে যেটা আমি যেকোন সময় চেঞ্জ করতে পারি। লাইক যদি আমি বাংলায় বলে থাকি আমার নাম এই আর ইংলিশ আমি বলি মাই নেম ইজ দিস এভাবে আমরা নিজের পার্সোনালিটি যখন খুশি শিফ্ট করতে পারি। আর তখন আমাদের মাল্টিপল পার্সোনালিটি হয়ে যায়। তাই আপনি যদি নিজের পার্সোনালিটি কে শিফ্ট করতে চান তাহলে আপনার মিনিমাম দুটো ল্যাঙ্গুয়েজ জানা থাকতে হবে যার জন্য আপনি একটা নতুন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে পারেন।
Fact No. 2 আপনি যদি এমন কোন কাজ করেন যে কাজটা করতে আপনি ভয় পান আর যদি আপনি সেই কাজটা করে ফেলেন। আপনার মধ্যে একটা খুসি অনুভব হবে। যে কাজটা করতে আপনি ভয় পান সেই কাজটা সম্পন্ন হলে আপনি খুশি হবেন। আর এই কারনেই হয়ে থাকে বিকাশ সেই কাজটা করার সময় আপনি ইন্টার্নালি এটা ফিল করেন যে আপনি আপনার এক্সপেক্টেশন এর থেকে বেশি কিছু করে ফেলেছেন। ফর এক্সাম্প্লে আপনি যদি কোন ভূতের সিনেমা দেখতে ভয় পান আর আপনি যদি ভূতের সিনেমা টা দেখে ফেলেন। তাহলে আপনি মন থেকে একটা খুশি অনুভব করবেন। যে আপনি আপনার ভাইকে ওভারকাম করে ফেলেছেন। আপনি নিজের ফেয়ারকে জিতে ফেলেছেন। আবার মনে করুন আপনি উঁচু জায়গাকে ভয় পান। আর আপনি কোন পাহাড়ে উঠে গেছেন সেখানে ওঠার পর আপনার মধ্যে একটা উইনার এর মত ফিলিং আসবে। যে আমি সত্যি এটা করে ফেলেছি। তাই আপনি যদি আপনার লাইফে কোন কাজকে ভয় পান তাহলে সেই কাজ থাকে অবশ্যই করুন তাহলে দেখবেন আপনি এতটা খুশি হবেন আপনি ভাবতেও পারছেন না। কিন্তু এর মানে কিন্তু এটা না যে আপনি আগুনকে ভয় পান আর আগুনে গিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন এটা একদমই করবেন না।
Fact No.3 মেয়েরা সেই সমস্ত ছেলেদেরকে বেশি পছন্দ করে যাদের আওয়াজ অনেক বেশি ডিপ হয়ে থাকে। সাইকলজি একটা রিসার্চ এ খুঁজে পাওয়া গেছে মেয়েরা সেই ছেলেদের কে বেশি পছন্দ করে যারা ভায়োলেন্ট হয়না। আর যাদের কনফিডেন্স লেভেল অনেক বেশি হয়। তো ভাই তোমাদের মধ্যে যারা যার আউজ খুব ডিপ তারা নিচে কমেন্ট করে জানাও।
Fact No. 4 যখন মানুষ তার ইন্টারেস্ট জিনিস সম্পর্কে কথা বলে তখন সেই মানুষটা অনেক বেশি অ্যাট্রাক্টিভ লাগে। অর্থাৎ সিম্পল কোথায় বললে যে জিনিসের আমাদের ইন্টারেস্ট থাকে সেই দিন টা সম্পর্কে আমরা অন্যান্য মানুষদেরকে অনেক কিছু জানাতে পারি। কারণ সেই জিনিসের উপর আমাদের অনেক বেশি নলেজ থাকে। আর এই কারনেই আমরা সেই জিনিসটা সম্পর্কে বেটার ওয়েতে এক্সপ্লেইন করতে পারি। আর তখন আমাদের এক্সপ্রেশন বদলে যায়। কারণ সেটি আমাদের ফেভারে টপিক সেই জিনিসটার প্রতি আমরা ইন্টারেস্টেড। এই কারণে যখন আমরা নিজের ফেভারিট জিনিসের সম্পর্কে কথা বলি তখন আমরা সব থেকে বেশি একটিভ দেখতে লাগি।
Fact No. 5 আপনি কি জানেন আপনার যে মন, আপনার যে মাইন্ড রয়েছে 50%0টাইম শুধু দৌড়াতে থাকে, ফর এক্সাম্পেল আপনি যখন পড়তে বসেন তো আপনার মোন পড়াশোনা কনসেনট্রেট না করে এদিক ওদিক এর কথা বেশি মনে করে। আরও একটা উদাহরণ হল, আপনি ফেসবুক করেন তো ফেসবুকে আপনি একটা প্রোফাইল থেকে অন্য প্রোফাইল দ্বিতীয় প্রোফাইল থেকে তৃতীয় প্রোফাইল এমন করতে করতে জানিনা কতটা সময় আপনি ওই প্রোফাইল এর পেছনের কাটিয়ে দেন আর এমনকি আপনি যখন কোন ভিডিও দেখেন তখন আপনার মোন ওই ভিডিও সঙ্গে রিলেটেড কোন কথাকে মনে মনে ভাবতে থাকে অর্থাৎ আপনার মাইন্ড কখনো এক স্থানে স্থির থাকে না, 50% অফ দা টাইম দৌড়াতে থাক।
Fact No. 6 যে মেয়েদের বেশিরভাগ বন্ধু ছেলে হয়ে থাকে সেই মেয়েরা অনেক বেশি ভালো মুডে থাকে। জানিনা এটা ঠিক নাকি ভুল কিন্তু সাইকোলজির একটা রিসার্চে এটা পাওয়া গেছে যে মেয়েদের বেশি পুরুষ বন্ধু হয়ে থাকে, মানে যে মেয়েদের বেশিরভাগ বন্ধু ছেলে হয়। সেই মেয়েরা ম্যাক্সিমাম টাইমই ভালো মুডে থাকে। আর ভালো মুডে এই কারণেই থাকে একজন পুরুষ এবং মহিলার স্টেট অফ মাইন একেবারেই আলাদা হয়। আর যখন একজন মহিলা তার মনের প্রবলেম যখন একজন পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করে তখন যে একটা মানুষিক স্বস্তি পায়। যার কারনে সে অনেক ভালো মুডে থাকে। যেটা আমি না বরং সাইকলজিক্যাল স্টাডি বলছে।
Fact No.7 আমরা আমাদের লাইফে যত বেশি খুশি থাকব আমাদের ততটাই কম ঘুমের প্রয়োজন হয়। সাইকোলজির একটা রিসার্চ পাওয়া গেছে যে কোন ব্যক্তি যত বেশি খুশিতে থাকে সে ততটাই কম ডিপ্রেস হয় যার ফলে তার ঘুমের কোয়ালিটি অনেক ভাল হয়। আর এই কারণ সে কম ঘুমিয়ে রিলাক্স ফিল করে অর্থাৎ তার কোম ঘুমের প্রয়োজন পড়ে। তাই যদি সে কোম ঘুমায় তাও সে অনেক বেশি রিলাক্স ফিল করতে পারে। আর এই জন্য যত খুশিতে পারেন থাকুন যাতে আপনার কোম ঘুম আসে আর আপনি আপনার লাইফে অনেক বেশি কাজ করতে পারেন।
Fact No.8 আমাদের ব্রেইন চাই যে আমরা অলস হই, ঠিকই শুনেছেন। কারেন্ট সাইকলজি একটি রিচার্জে পাওয়া গেছে যে আমাদের ব্রেন আমাদের যে মন, সেটা নিজে থেকে অলস হতে চায়। সে কাজ করতে চাই না এজন্য আপনি যদি অলসতা থেকে বাঁচতে চান কাজ করতে শিখুন। নিজের ব্রেনটাকে কখনো একা ছাড়বেন না কোন না কোন কাজে লাগাতে থাকুন। আর আপনি যদি অলরেডি অলস হন। তাহলে এটা আপনার ভুল না কারণ আপনার মনই আপনাকে অলস বানাচ্ছে। এজন্যই আপনি যদি অলস না হতে চান তো প্রতিদিন ডিসিপ্লিনের সঙ্গে কাজ করতে থাকুন।
Fact No.9 কারেন্ট সাইকোলজির একটা রিচার্জে পাওয়া গেছে একজন মেয়ে কোন কথাকে 47 ঘন্টা 15 মিনিটে নিজের মনে চেপে রাখতে পারে। আর তারপর সে কথাটা কে কাউকে না কাউকে বলে দেয়, মানে সে না বলে থাকতে পারে না। আর এজন্যই বলা হয়ে থাকে যে মেয়েদেরকে কোনো ইম্পরট্যান্ট কথা বলা উচিত নয়। কারণ তাদের পেটে কোন কথাই থাকে না সে কারও না কারও সঙ্গে সেটা শেয়ার করবেই। তো ভাই আপনি যদি আপনার ইম্পর্টেন্ট কোন কথা কোন মেয়েকে বলে ফেলেন। তাহলে 47 ঘন্টা গুনে ফেলুন আর তারপর আপনার ঐ কথাটা সার্বজনীক হয়ে যাবে।
Fact No.10 আমরা সব সময় নিজের জন্য প্রবলেম খুঁজতে থাকি। হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনেছেন, আমরা নিজের জন্যই প্রবলেম খুঁজে বেড়ায়। সাইকলজিকাল একটি রিসার্চে পাওয়া গেছে যেটা হিউম্যান বিহেভিয়ার একটা পার্ট,তাই যখনই আপনি কোন প্রবলেমে পড়বেন তখন এটা ভাববেন না যে সেটা একটা প্রবলেম কারণ এটা আমাদের মাইন্ডের একটা কাজ। খুবই আজব একটা ব্যাপার রাইট, যে আমরা নিজের জন্য সর্বদা প্রব্লেম খুঁজতে থাকি। তো যারা যারা এখনো এই প্রতিবেদন টি ষ পুরো ধৈর্যের সাথে পড়ছেন আমার মতে তারা বাকিদের থেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। এই কারণেই আমার মনে হয় আপনার এই স্পেশাল কিছু বোনাস ফেক্ট অবশ্যই জানা উচিত।
আরও পড়ুন:ব্যবসায় কোটি টাকা বানানোর গোপন সূত্র !
Bonus Fact No.1 হরর বা ভয়ের সিনেমা দেখার সখ অনেক মানুষের মধ্যেই থাকে আর বেশিরভাগ মানুষই মনে করে এমন মুভির প্রভাব কিছু সময়ের জন্য থাক এবং তার পর সব নরমাল স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু সাইকোলজি বলে থাকে ভয়ের সিনেমার এফেক্ট সারা জীবনের জন্য হতে পারে স্পেশালি তখন যখন ভয়ংকর সিনেমাটি ছোট বাচ্ছা বা টিন্জারদের মেন্টাল হেলথ ও তাদের ঘুমের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এই জন্য আপনার বয়স যদি 18 বছরের নিচে হয়ে থাকে তবে এমন মুভি থেকে সর্বদা দূরে থাকুন।
Bonus Fact No.2 যখনই আমাদের সঙ্গে খারাপ কিছু হয় মানে আমরা এমন কোনো কন্ডিশনে আটকা পড়ে যা আমাদের হিসেবে ঠিক হচ্ছে না তখন আমরা অন্যকে দোষী করতে থাকি। আর ওই পরিস্থিতিকে ঠিক করার বদলে আমরা অন্য ব্যক্তির ভুল ধরতে থাকি। তো এর পেছনের সাইকলজি হলো যে এটা করা, সেই সময় আমাদের কাছে সব থেকে সহজ হয়। আর সাইকোলজি বলে থাকে যখন কোন ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে ক্রিটিসাইজ বা ব্লেম করে তখন সে নিজেই দায়বদ্ধতা থেকে বেঁচে যায়। যার নিজের ভুলকে লুকিয়ে নেয় আর এক্ষেত্রে আমাদের ব্রেন আমাদের সাহায্য করে।
Bonus Fact No.3 নিউকর্সেল ইউনিভার্সিটি ইংল্যান্ড হওয়া একটি স্টার্ডি থেকে জানা যায়, রুমে কোন তাকিয়ে থাকা পেইন্টিং বা তাকিয়ে থাকা ফটো থাকলে সেই রুমে যদি কোন ব্যক্তি বসে কাজ করে সেই কাজটা পুরো মন দিয়ে করতে পারে। আর এর কারণটি হল যে তার ব্রেন অবচেতনে এটাই মনে করে যে কেউ তাকে অবজাভ করছে কেউ তাকে দেখছে। আর এই জন্যই আপনি চাইলে নিজের কোন কাজকে সম্পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে না করতে পারেন তো সেই রুমে যেখানে আপনি কাজ করছেন সেখানে আপনি কোন চোখ বা তাকিয়ে থাকা ফটো লাগিয়ে দিন। যা আপনার কাজের উপর অবশ্যই প্রভাব ফেলবে অ্যান্ড প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
Bonus Fact No.4 সাইকোলজির একটা রিপোর্ট অনুসারে আপনি যখন কারো সঙ্গে কথা বলেন তখন আপনার চারপাশের পরিবেশ আপনার ফিলিংস এর উপর অনেক প্রভাব ফেলে। আর বিশেষ করে তখন যখন আপনি কোন ঠান্ডা জায়গায় থাকেন এবং আপনি যখন কোনো হার্ড চেয়ারের উপর বসে থাকেন। সাইক্লোজি অনুসারে আপনি যখন কোনো শক্ত চেয়ারের উপর বসে কারও সঙ্গে কোনো কিছু আলোচনা করেন তখন আপনি আপনার কথার খেলাপ করেন না বা নিজের কথা রাখে চেঞ্জ করেন না। বরং আপনি আপনার নিজের কথাটা কে ধরে এগিয়ে চলেন কারণ হার্ড চেয়ারের উপর বসেতে আপনার হার্টনেস অনুভব হয়,যাতে আপনার ফিলিংস আরো দৃড়, কঠোর হয়। আর আপনি যখন কোন ঠান্ডা পরিবেশে থাকেন আপনার একাকী অনুভব হয়। তো আপনি কোন হরর মুভি ভয়ের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন? কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন? আজকের এই প্রতিবেদনটি যদি আপনার লাইফের জন্য একটুও কাজের মনে হয় তো কমেন্ট করুন শেয়ার করুন আপনার সমস্ত বন্ধুদের সঙ্গে। আর এমন সমস্ত ইন্টারেস্টিং প্রতিবেদন পেতে সবার প্রথম ইমেল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন।
আরও পড়ুন: বিল গেটস বলেছিলেন - হ্যাঁ এমন একজন আছেন যিনি আমার চেয়েও ধনী !
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন