রীতিমতো কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে উধাও হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল। কোথায় গেলেন বীরভূমের 'কেষ্টদা'? উত্তর খুঁজছেন সকলেই। রাত পোহালেই বীরভূমে ভোট। তার আগে নজরবন্দি অনুব্রত নজর এড়িয়ে জেলার স্পর্শকাতর' বুথে হাজির হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে।
২৯ এপ্রিল ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল কে নজর বন্দী করে ইলেকশন কমিশন। বাড়ির বাইরে থকে পাহাড়ায় ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে আধিকারিকদের সামনেই বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে বের হন তিনি। গাড়িতে করে রওনা হন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। কিছু নেই গাড়িতে ছিলেন কমিশনের আধিকারিকরা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা। আচমকাই একটি রাস্তার বাঁক থেকে উধাও হয়ে যান অনুব্রত। তাঁর গাড়ির হদিশ পাননি কমিশনের প্রতিনিধিরা। কোথায় গেলেন কেষ্ট দা ? এ বিষয়ে এখনো কোনো সঠিক তথ্য মেলেনি।কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ানরা হন্যে হয়ে খুঁজছেন তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে। অনুব্রত বীরভূমের স্পর্শ কাতর এলাকা তথা নানুর ও সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে থাকতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। ভোটের দামাম বাজার পর থেকেই ভয়ঙ্কর খেলার ডাক দিয়েছিলেন অনুব্রত। কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে কার্যত খেলা দেখালেন তিনি।
উল্লেখ্য, পৃথিবীতে উনিশ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডল কে নজর বন্দী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। তবে সেটা ছিল শুধুমাত্র ভোটের দিন। যদিও তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেবারের ভোটের সময় খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, দিন বসেই তথ্য নিজের নখদর্পণে রেখেছিলেন তিনি। এবার ভোটের আগে থেকেই অনুব্রত কে নজর বন্দী করল কমিশন।
আপনার মূল্যবান মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন