মন ভালো নেই। কিছু ভালো লাগছেনা, ২০২০ তে অপ্রাপ্তিতে গিলে খেয়েছে প্রতিনিয়ত। প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি সামাজিক দূরত্ব ও আইসোলেশন এ যাঁতাকলে পড়ে একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দীর্ঘদিন কাটিয়েছে অনেকে। বহুদিন কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেননি মানুষজন একঘেয়েমি ও মানসিক অবসাদে ভুগছে সকলেই। তবে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এই সমস্যায় ভুগছেন বেশি মহিলারা। একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে
পুরনো ভাইরাসের কামড়ে খারাপ সময়ে পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ অবস্থায়। তিনটি মেয়ের মত একটি মেয়ের মনের অবস্থা ভালো নেই। একাকিত্বের ভুগছে তারা।
সম্প্রতি কানাডার গবেষণা থেকে একটা নতুন তথ্য উঠে আসে। তাদের গবেষণা ও সমীক্ষায় বলছে, এই লকডাউন পরিস্থিতিবা সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়টি মহিলা ও পুরুষের উপর ভিন্নভাবে প্রভাব ফেলেছে। এক্ষেত্রে অধিকাংশই ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানসিক উদ্বিগ্নতা, অস্থিরতা ও অবসাদ সহ একাধিক সমস্যায় পুরুষদের থেকে মহিলারাই বেশি ভুগছেন।
অফিসের কাজ, সঙ্গে সন্তান পরিবারকে সময় দেওয়া, ঘরের কাজ সামাল দেওয়া, অন্যের মন জুগিয়ে চলা পুরনো তো অতিরিক্ত চিন্তার কারণ হিসেবে রয়েছে। এত কিছু সামাল দিতে পারছেন না বহু মহিলা। পাশাপাশি বদলাতে হয়েছে অনেক অভ্যাস। যার কারনে এত কিছুর মাঝে মস্তিষ্কে সজাগ থাকতে মনের কথা ভাবার সময় পাচ্ছেন না তারা। নিজেকে সময় দিতে না পেরে একাকিত্বে ভুগছেন তারা।
Hotchkiss Brain Institute এর সঙ্গে কালগ্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি দীর্ঘ সমীক্ষা ও গবেষণা চালিয়েছেন। লকডাউনের মাসগুলোতে মহিলা এবং পুরুষদের মূলত ঘুম, মানসিক সুস্থতা, মাসিক স্থিতিশীলতা বিষয়ের উপর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই উপসর্গগুলো নিয়ে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কানাডার ৫৭৩ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয় যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১১২ জন ও মহিলা ৪৫৯। ২০২০ সালের ২৩ মার্চ থেকে 7 ই জুনের মধ্য এদের গড় বয়স এর পরিমাণ ছিল ২৫ বছর ৯ মাস।
আরও পড়ুন: ২৪,০০০ টাকার চা খেয়েছেন কখনো?
সমীক্ষায় যে তথ্য উঠে আসে,তাতে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিক উদ্বিগ্নতা অস্থিরতা ও অবসাদ এর শিকার হচ্ছেন মহিলারা। যত দিন যাচ্ছে ও একাকীত্ব বাড়ছে তাদের এই উপসর্গ আরো খারাপ ও ভয়ানক হয়ে উঠেছে।বিশেষ করে এই সংক্রমণ কালে আইসোলেশন বা সামাজিক দূরত্বের যাঁতাকলে পড়ে এই ধরনের প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পায়। আরও একটি বিষয় সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে মহিলাদের মত এম্পথি সহমর্মিতা দুধের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। এই অধিক মাত্রায় এমপ্যাথি কিন্তু মানসিক উদ্বিগ্নতা বা অবসাদ এর সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। তাঁরা অত্যন্ত সংবেদনশীল। সমস্যর ও প্রিয় জন বা পরিবারের কোনো কঠিন সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে চাপ নিতে হয়। প্রত্যেকের প্রতি যত্নবান পরিবারের ছোট ছোট বিষয় সঙ্গে অতিরিক্ত ভাবে জড়িয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত ভালবাসা বা স্নেহের জেরে মহিলাদের মানসিক চাপ আর চিন্তাটাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। এর ছেলে মানসিক অবসাদ পারে সম্ভাবনা থাকে প্রবল।
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন