বাজার থেকে ফেরার পথে ঝাড়খণ্ডে আবারো গণধর্ষণের শিকার হলেন এক বিবাহিত যুবতী। বাজার করে মঙ্গলবার রাতে স্বামীর সঙ্গেই ফিরছিলেন এই যুবতী। মাঝ রাস্তায় পথ আটকায় কয়েকজন। নির্জন জায়গায় তিনি নিয়ে গিয়ে ১৭ জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা। পাঁচ সন্তানের মা ওই যুবতী অভিযোগ,ঘটনার সময় দর্শকরা তার স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখেছিল। ধর্ষিতার বয়ান অনুযায়ী,ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যেকই মদ্যপ অবস্থায় ছিল।ঘটনার দুদিন পরে ওঝার খন্ডের দুমকা জেলার এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে মাত্র ১ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকিদের খবর এখন জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।


ঝাড়খণ্ডের তুমকা জেলারগণধর্ষণের ঘটনা কি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখেছেন ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন।আগামী দু'মাসের মধ্যে ঝাড়খন্ড গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশ কে। ন্যাশনাল কমিশন ফর ওমেন(NCW) এর চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা চিঠি লিখেছেন ঝাড়খন্ড পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল সুদর্ষণ মন্ডল কে।তাতে বলা হয়েছে কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাইডলাইন মেনে আগামী দু'মাসের মধ্যে এক কেজির নিষ্পত্তি করতে হবে। ঝাড়খন্ড পুলিশ এই মামলার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে।




এদিন ডিআইজি সুদর্শন জানান, মঙ্গলবার রাত ৮ টায় দুমকার ওই দম্পতি বাজারে কেনাকাটা করে ফিরছিলেন। সেই সময় কয়েকজন তাদের রাস্তায় আটকায়।যুবতীর বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তদের পাঁচজন তাকে একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে গণধর্ষণ করে বলে জানা গিয়েছে । বাকিরা তার স্বামীকে আটকে রেখেছিল। এরপর একে একে ওই ১৭জন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। ডিআইজি আশ্বাস দিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত কেউই রেহাই পাবে না। নির্যাতিতের মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে।


আপনার মতামত কমেন্ট বক্সে জানান।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন