০২১ বিধানসভা ভোটের আগে যে শুভেন্দুর দল ত্যাগ করবেন তা ধরে নিয়েছিলেন নেতৃত্ব। কিন্তু, তার সাথে আরও দুজন নেতা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে যাবার পরই, শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন দলের প্রধান নেত্রী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আলোচনায় যে দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।




সূত্রের খবর এই যে, দলের ভাঙ্গন ঠেকানো রাস্তা খুলতেই কালীঘাটের বাড়িতে শুক্রবার বিকেলে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মাননীয়া। ভোটের পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোরকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এর মত শীর্ষ নেতারাও। এই ভাঙ্গনের সময় দলকে কি করে এক সূত্রে জানা যায়, সেই কৌশল খুঁজবেন তৃণমূল নেত্রী।


শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠমহলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তার সঙ্গে আরো 10 বিধায়ক তৃণমূল ছাড়বেন। বিসুদবার শুভেন্দু ছাড়াও দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আসানসোলের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।


আসানসোলের পুর‌ প্রসাশক জিতেন্দ্র তিওয়ারিবিদ্র করার পরেই বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে আসানসোল পুরো প্রশাসককে সরাসরি ফোন করে কথা বলেন, ফোনে জানান তার মাথা ঠান্ডা রাখতে। এটাও বলেন ১৮ ডিসেম্বর ফিরে কথা বলবেন তার সাথে। কিন্তু মমতা সেই আর্জি রীতিমতো উপেক্ষা করে দল ত্যাগ করলেন জিতেন্দ্র।


এখানে বিদ্রোহের ইতি নয়। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল কুমার মন্ডল বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে সূত্রে খবর। আরো কয়েকজন বিধায়কের গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকেছে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। শুধু বিধায়ক ও সংসদরাই নন, শাসক দলের উদ্বেগ বাড়িয়ে নিচুতলার অনেক নেতার গলায় শোনা যাচ্ছে। উঠছে উপেক্ষা বঞ্চনার অভিযোগ।এমত অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজ্যে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।



আপনার কি মনে হয় টিএমসি তার ভাঙ্গন রুখতে পারবে? 


আপনার মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন