ভাঙতে ভাঙতে এতটাই ভেঙে যাবে কেউ আশা করেনি। শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়,বহু নেতার মুখেই এখন দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। রাজনৈতিক মহলের দাবি,আগামী বিধানসভা ভোটের মুখে তৃণমূলে একের পর এক নেতার এই বিদ্রোহের একমাত্র কারণ বিজেপিতে যোগ দেওয়া। এই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের নানা স্তরের নেতাদের কাছে আসছে বিজেপির ফোন।কিন্তু তা বলে সুব্রত বক্সী ও বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের কাছে ও নাকি বিজেপি তে যাওয়ার আমন্ত্রণ এসেছে! আরে মনি বিস্ফোরক দাবি করলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোচবিহারের সভা থেকে বুধবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন,'বিজেপি দল টা এতটাই নিচে নেমে গেছে, যে আপনাদেরও শুনলে লজ্জা লাগবে। সুব্রত বক্সী রাজ্যের তৃণমূলের সভাপতি, সেই সঙ্গে একজন সংসদ বটে। তাকে ফোন করে বলেছে, দাদা আপনার সঙ্গে বসবো,কথা আছে। কত বড় সাহস ভাবুন! সামান্য লজ্জা ,ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ নেই এদের। এসব থাকলে এমন কাজ কেউ করে না। আমার দলের সভাপতি কে ফোন করে যদি এটা বলতে পারে, তাহলে আসলে কি কি হচ্ছে ভেবে দেখুন।'
তারপরই অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'কালকে কেষ্ট আমাকে ফোন করেছিল। আমার দলের বীরভূমের জেলা সভাপতি। বলল, দিদি আমাকে দিল্লি থেকে একজন ফোন করে বলেছে আমার সঙ্গে নাকি বসতে চায়। কথা বলবে। মমতাজ সংযোজন, 'কেষ্ট বলেছে আমি টিএমসি করি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। তোমার সঙ্গে কেন বুঝতে যাব। কোন কথা নেই। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর আরো ছড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বলে দেন, নির্বাচনের সময় যারা বিরোধীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেন, তাদের তিনি কোন মতেই মেনে নেবেন না। জলপাইগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '10 বছর পার্টির হয়ে খেয়ে, সরকারি হয়ে সবটা খেয়ে, নির্বাচনের সময় এর সঙ্গে ওর সঙ্গে বোঝাপড়া করলে আমি কখনো সহ্য করব না। এটা মনে রাখবেন। 364 দিন যারা মানুষের সঙ্গে ছিলেন তাদের নির্বাচনী পরীক্ষা দিতে হবে।
আপনার কি মনে হয়, টিএমসি দল কি নিজের ভাঙ্গন আটকাতে পারবে? নাকি এই ভাবে ভেঙে যাবে?
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন