![]() |
Photo-PTI |
করুনার চলতে থাকা তাণ্ডবের মধ্যেও উম্পুনের ক্ষয়ক্ষতি মেরামতি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুয়ায়ী প্রায় ৩০ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের একাউন্টে সরকারি তরফে সরাসরি চলে গিয়েছিলো আর্থিক সাহায্য ও। সেই সঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসে হাজার কোটির প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই টাকা আগেই চলে এসেছিল। যদিও রাজ্যের দাবি ছিল, প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে উম্পুনে। তাই কেন্দ্রের আরও সাহায্য দাবি জানিয়েছিল নবান্ন। সেই সূত্রেই এবার পুনঃপুন এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যকে আরোও ২,৭০৭.৭৭ কোটি টাকা দিলেও কেন্দ্রীয় সরকার।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নতৃত্বে থাকা উচ্চপর্যায়ের কমিটি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
করুনা পরিস্থিতি রাজ্যের আর্থিক সংকট থাকলেও শত সমস্যা শত জেতার সরকার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে কোনরকম খামতি লাগছেনা,সেকথাও বারবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সে জন্যই উম্পুনের কয়েকদিনের মাথাতেই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এর জন্য ৬২৫০ কোটি টাকার তহবিল গড়েন তিনি।সেই সূত্রেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার পাঁচ লক্ষ মানুষকে ঘরবাড়ি মেরামতির জন্য তাদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেছে, দুলক্ষ পানচাষি ছাড়াও আরো ২৩.৩ লক্ষ্য কৃষক কেউ অর্থ সাহায্য করেছে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে।
উম্পুন এর জেরে এক সময়ে মাথায় হাত পড়লেও এখন কিছুটা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন চাষীরা। উম্পুন এর বড়ই নবান্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দ্রুততার সঙ্গে আর্থিক সহায়তা কৃষকদের পৌঁছে দিতে হবে।কালবিলম্ব না করে রাজ্য সমবায় ব্যাংক এ কৃষক বন্ধু প্রকল্পের চেক উদ্বৃত্ত অর্থ ছিল, তার থেকেই কৃষকদের সাহায্য দেওয়া শুরু করেছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। জেলাগুলির উপ কৃষি অধিকর্তার ছিলেন এই সহয়তা বন্টনের দায়িত্বে। যদি উম্পুনের ট্রেনিং দুর্নীতি নিয়ে বারবার শাসক দলের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। যা আদালতই বিরোধীদের কাছে আক্রমণের অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এবার দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রের সাহায্য আসার পর এমন অভিযোগ ওঠে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।
সাবস্ক্রাইব করুন থাকুন সবসময় আপডেটেড।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন